Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

 কোলকোন্দ ইউনিয়নে আপনাকে স্বাগতম, কোলকোন্দ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের যে কোন সেবা পেতে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি- WhatsApp-01767511512, Email- milon595@gmail.com, udc5410@gmail.com

সর্বজনীন পেনশন রেজিষ্ট্রেশন করতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার অথবা আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।

রেজিস্ট্রেশন করুন- https://www.upension.gov.bd/Public/Registration, সম্ভাব্য মাসিক পেনশন প্রাপ্যতা- https://www.upension.gov.bd/Public/Packages,  

সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুবিধা- https://www.upension.gov.bd/Public/Benefits, সর্বজনীন পেনশন আইন ও বিধিমালা- https://www.upension.gov.bd/Public/Laws,  

হেল্প ডেস্ক- https://www.upension.gov.bd/Public/HelpDesk, ভিডিও চিত্র- https://www.youtube.com/watch?v=3tjqJjqKATE


পূর্ববর্তী মামলার রায়

২নং কোলেেকান্দ ইউনিয়ন পরিষদ 

গংগাড়া, রংপুর।



গ্রাম আদালত সফলতার গল্প -০১

মামলা নং। ২৭/২০২৩

মামলার ধরন: ফৌজদারী

দায়েরের তারিখ: ২২/১০/২০২৩


আবেদনকারী মোছা: মারুফা বেগম, পিতা- মোঃ মমিনুর রহমান, স্বামী মোঃ শাহিনুর ইসলাম, গ্রাম- আপেকিসামত। ওয়ার্ড নং-০৪, ডাকঘর: কোলকোব্দ, উপজেলা- গংগাচড়া, জেলা- রংপুর। প্রতিবাদী ১। মোঃ শাহিনুর ইসলাম (৩১), পিতা মো: ইউনুস আলী, ২। মো: ইউনুস আলী (৭২), পিতা- মৃত আজগর আলী, উভয় স্যাম- সাউদপাড়া, ওয়ার্ড নং-০৩ ডাকঘর- কোলকোব্দ, উপজেলা- গংগাচড়া, জেলা- রংপুর। অভিযোগের বিবরণ: অন্যায়ভাবে নিজ স্ত্রীকে ডাং-মাড় ও নির্যাতন করে বাবার বাড়িতে পাঠায় দেওয়া প্রসঙ্গে।


আবেদনকারী মোছাঃ মারুফা বেগন এবং ১নং প্রতিবাদী স্বামী স্ত্রী ও ২নং প্রতিবাদী শ্বশুর হয়। পারিবারিক বিক্রি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। যার জের ঘরে অভিযোগকারীনিকে ২নং প্রতিবাদীর ইন্ধনে ১নং প্রতিবাদী ডাং মার ও শারিরিকভাবে নির্যাতন করে। তাহাকে যৌতুকের দাবিতে বিনা কারণে অপমান ও ডাং- নার করে বাবার বাড়িতে পাঠায় দেয়। স্থানীয়ভাবে মিমাংশার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর মোছা: মারুফা কোন কুল কিনারা কিছুই খুজে পায় না অবশেষে নিরুপায় হয়ে স্থানীয় গণ্যমান্ত ব্যাক্তি মোঃ মইনুল চৌধুরীর কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান। তিনি তাকে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে গ্রাম-আদালতে বিচার দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। তখন মোখাঃ মারুফা বেগম ২২/১০/২০২৩ ইং তারিখে ২০ টাকা ফিস দিয়ে গ্রাম আদালতে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন।


মামলার আবেদনকারী, প্রতিবাদী, সাক্ষী ও উভয় পক্ষের প্রতিনিধি গনের উপস্থিতিতে ০৬/১১/২০২৩ইং তারিখে গ্রান-আদালতের নিয়ম অনুযায়ী মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। আবেদনকারী, সাক্ষী ও প্রতিবাদীর জবানবন্দী বিবেচনান্তে ও মামলার নথী পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণিত হয়। গ্রাম-আদালত ৫:০০ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় সর্ব সম্মতিক্রমে প্রতিবাদী ও আবেদনকারীকে সামাজিক অবস্থা ও পুনমিলনের বিষয়সমূহ বিবেচনা করে আপোষের মাধ্যমে মিমাংশার নির্দেশ প্রদান করেন। উভয় পক্ষ গ্রাম আদালতের রায় দেশে নিয়ে আপোষে মিমাংশা করতে সম্মতি প্রদান করেন।


আবেদনকারী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি পায়ে হেঁটে ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করেছি এবং মাত্র ২০ টাকা খরচে গ্রাম সাদালতে মামলা করে ন্যায্য বিচার পেয়েছি। তিনি বলেন যে, আমাদের মত গরিব দুখীদের মঙ্গলের জন্যই গ্রাম আদালত। আজ যদি গ্রাম আদালত না থাকতো তাহলে আমি আমার ন্যায্য বিচার পেতাম না। প্রতিবাদীগণ তাদের ভুল বুঝতে পেরে বলেন যে, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আসলেই গ্রাম আদালতের বিকল্প নেই। গ্রাম আদালতের "সিদ্ধান্তে আমি কৃতজ্ঞ। গ্রাম আদালতের জন্যই আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। মোছা: মারুফা বেগন এর কাছে তাদের বর্তমান সম্পর্কের কথা জানতে চাইলে সে প্রতিত্তোরে বলেন, এখন তাদের উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক পূর্বের ন্যায় ভাল। তারা তাদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে সুখে আছে।